নোবেল পুরস্কারঃ সুয়েডীয় বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল-এর মর্মানুসারে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়।মূলত যুদ্ধে ডিনামাইট ব্যাবহার এবং এর বিভীষিকা নোবেলকে ব্যাথিত করল যা তাকে নোবেল পুরুস্কার এর জন্য উইলটি করতে অনুপ্রাণিত করে। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে
নোবেল পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। ঐ বৎসর থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে এই পুরস্কার প্রদান করা হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি। নোবেল পুরস্কারকে এ সকল ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আলফ্রেড
নোবেলঃ ১৮৩৩ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আলফ্রেড নোবেল
জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ছিলেন একজন সুয়েডীয় রসায়নবিদ, প্রকৌশলী এবং উদ্ভাবক।
তার জীবদ্দশায় তিনি অনেক কিছু আবিষ্কার করেন তার নামে ৩৫০টি ভিন্ন ভিন্ন
পেটেন্ট ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ডিনামাইট।ডিনামাইট আবিস্কার
এর উদ্দেশ্য ছিল পাহাড় ভাঙ্গা, টানেল তৈরি কিন্তু যুদ্ধ বিগ্রহে
বিপুল পরিমানে ডিনামাইট ব্যবহার হতে থাকলো।
যুদ্ধের বিভীষিকা নোবেলকে ব্যাথিত করল যা তাকে নোবেল পুরুস্কার এর জন্য উইলটি
করতে অনুপ্রাণিত করে।
ডিনামাইটঃ ডিনামাইট এক ধরনের
বিস্ফোরক যা নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। নোবেল পুরস্কারের
প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেল ডায়নামাইট আবিষ্কার করেন এবং ১৮৬৭ খ্রীস্টাব্দে
এর প্যাটেন্ট নিবন্ধন করেন। বিভিন্ন শোষক পদার্থ দিয়ে নাইট্রোগ্লিসারিন
কে শোষণ করিয়ে নিয়ে ডায়নামাইট তৈরি করা হয়। এসব শোষক দ্রব্যের মধ্যে
রয়েছে কিসেলগুড় নামক মাটি, করাত গুঁড়ো ইত্যাদি।এটিকে
উচ্চমাত্রার বিষ্ফোরক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি টি.এন.টি এর চেয়ে ৬০ ভাগ বেশি
শক্তিশালী।ডিনামাইট আবিস্কার এর উউদ্দেশ্য ছিল পাহাড় ভাঙ্গা, টানেল তৈরি কিন্তু যুদ্ধ বিগ্রহে
বিপুল পরিমানে ডিনামাইট ব্যবহার হতে থাকলো।যা দেখে
বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল অনেক ব্যাথিত হয়।
1. কয়টি বিষয়ে পুরস্কার
প্রদান করা হয়। ৬ টি বিষয়ের উপর
- পদার্থবিজ্ঞান
- রসায়ন
- চিকিৎসা
- অর্থনীতি
- সাহিত্য
- শান্তি।
2. শুধু মাত্র অর্থনীতিতে
পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে কবে? ১৯৬৯ সালে
3. ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে প্রথম নোবেল পান ২ জন
(ক) র্যাগনার
ফ্রেস(জার্মানি)
জন টিম্বারজেন
(নেদারল্যান্ডস)
4. অর্থনীতি ছাড়া অন্য
পাঁচটি বিষয়গুলোতে পুরস্কার প্রদান করা হয় কবে থেকে? ১৯০১ সাল থেকে
5. নোবেল
পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে ইংরেজিতে কি বলা হয়? নোবেল লরিয়েট ।
6. শুধুমাত্র শান্তিতে
নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় কোথায় থেকে? অসলো, নরওয়ে থেকে।
7. বাকি পাঁচটির ক্ষেত্রে? স্টকহোম, সুইডেনে থেকে।
8. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল
9. প্রত্যেক বছর
পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেক কি দেওয়া হয়? একটি স্বর্ণপদক, একটি সনদ ও নোবেল
ফাউন্ডেশন কর্তৃক কিছু পরিমাণ অর্থ।
10. নোবেল পুরস্কারের
বর্তমান অর্থমূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার।
11. তিনি কি নামে ডিনামাইট
বিক্রয় করতেন? "নোবেলের বিষ্ফোরক গুড়ো নামে।
12. নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক
কে- আলফ্রেড নোবেল
13. প্রথমে নোবেল পুরস্কার
দেয়া হত- ৫ টি ক্ষেত্রে(পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য)
14. প্রথম নোবেল পুরস্কার
বিজয়ীরা-
- পদার্থবিজ্ঞানঃ উইলহেন কনরাড রন্টজেন(জার্মানি)
- রসায়নঃ জোকেবাসভ্যান্ট হফ (নেদারল্যান্ড)
- চিকিৎসাঃ এ মিলফন বিহরিং (জার্মানি)
- শান্তিতে ২ জনঃ (ক) হেনরি ডুনান্ট (সুইজারল্যান্ড) (খ) ফ্রেডারিক পাসি (ফ্রান্স)
- সাহিত্যঃ সুলি প্রধোম (ফ্রান্স)
15. প্রতি বছর নোবেল
পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়- ১০ ডিসেম্বর
16. মনোবিজ্ঞানী হয়েও অর্থনীতিতে নোবেল পান-ড্যানিয়েল ক্যানেম্যান (২০০২ সালে)
17. দার্শনিক হয়েও সাহিত্যে নোবেল পান-বার্ট্রেন্ড রাসেল(ব্রিটেন) (১৯৫০সালে)
18. নোবেল বিজয়ী বাঙালি কতজন-৩জন
16. মনোবিজ্ঞানী হয়েও অর্থনীতিতে নোবেল পান-ড্যানিয়েল ক্যানেম্যান (২০০২ সালে)
17. দার্শনিক হয়েও সাহিত্যে নোবেল পান-বার্ট্রেন্ড রাসেল(ব্রিটেন) (১৯৫০সালে)
18. নোবেল বিজয়ী বাঙালি কতজন-৩জন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ নোবেল পান-
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য। প্রথম বাঙালি নোবেল বিজয়ী। এশিয়া ও
উপমহাদেশের প্রথম নোবেল বিজয়ী। নোবেল পান-১৯১৩ সালে;দেশ-ভারত।
অমর্ত্য সেনঃ একজন নোবেল (২য়
বাঙ্গালী) পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় বাঙালী অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত
কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮
সালে তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ড. মুহম্মদ ইউনুসঃ প্রথম
এবং একমাত্র (৩য় বাঙ্গালী) বাংলাদেশি নোবেল বিজয়ী। নোবেল পান-২০০৬ সালে। দেশ-বাংলাদেশ (ডাঃ মুহাম্মদ
ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথ ভাবে ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তনের স্বীকৃতি স্বরুপ
২০০৬ সালে এ পুরুস্কার পান)
19. সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পান- মালালা ইউসূফজাই (পাকিস্তান) ১৭ বছর বয়সে।
20. সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পান-লিওনিদ হারউইচ (যুক্তরাষ্ট্রের) ৯০ বছর বয়সে।
21. এই পর্যন্ত মরণোত্তর নোবেল পান-২ জন
22. নোবেল পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা- ৪ টি। যথা :
- নোবেল কমিটি অব দি নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট (নরওয়ে)-শান্তি
- সুইডিশ একাডেমি (সুইডেন)-সাহিত্য
- রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স (সুইডেন)-পদার্থ, রসায়ন ও অর্থনীতি
- ক্যারোনিস্কা ইনস্টিটিউট (সুইডেন)-চিকিৎসা শাস্ত্র
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তির নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি
সাহিত্যেঃ
সাহিত্যেঃ
বার্ট্রান্ড রাসেলঃ
দার্শনিক হয়ে সাহিত্যে নোবেল পান; নোবেল পান-১৯৫০ সালে; দেশ- ব্রিটেন।
উইন্সটন চার্চিলঃ
রাজনীতিবিদ হয়ে সাহিত্যে নোবেল পান; নোবেল পান-১৯৫৩ সালে।
দেশ- ব্রিটেন।
শান্তিঃ
24. হেনরী ডুনান্ট-রেড ক্রসের স্বপ্নদ্রষ্টা। নোবেল পান-১৯০১ সালে। দেশ-সুইজারল্যান্ড
25. আনোয়ার সাদাত-প্রথম মুসলিম নোবেল বিজয়ী। নোবেল পান-১৯৭৮ সালে। দেশ- মিসর
26. মাদার তেরেসাঃ নোবেল
পান-১৯৭৯ সালে। দেশ-ভারত।
দালাই লামাঃ তিব্বতের
ধর্মীয় নেতা। নোবেল পান-১৯৮৯ সালে। দেশ- তিব্বত
27. অংসান সুচিঃ নোবেল
পান-১৯৯১ সালে। দেশ-মায়ানমার।
28. ইয়াসির আরাফাতঃ নোবেল
পান- ১৯৯৪ সালে। দেশ-ফিলিস্তিন।
29. আইজ্যাক রবিনঃ ইসরায়েল।
নোবেল পান- ১৯৯৪ সালে।
30. শিমন পেরেজঃ ইসরায়েল।
নোবেল পান- ১৯৯৪ সালে।
31. কফি আনানঃ নোবেল পান-
২০০১ সালে। দেশ-ঘানা।
32. শিরিন এবাদিঃ নোবেল
পান-২০০৩ সালে। দেশ- ইরান।
33. এলেন জনসন সির্লফঃ
লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন নোবেল পান। নোবেল পান-২০১১ সালে।
দেশ-লাইবেরিয়া
34. লেইমাহ বোয়িঃ নোবেল
পান-২০১১ সালে। দেশ-লাইবেরিয়া।
35. তাওয়াক্কুল কারমানঃ
প্রথম আরব নারী হিসেবে নোবেল
পান। নোবেল পান-২০১১ সালে। দেশ-ইয়েমেন
পান। নোবেল পান-২০১১ সালে। দেশ-ইয়েমেন
অর্থনীতিঃ
36. এলিনর অসট্রমসঃ
অর্থনীতিতে প্রথম মহিলা নোবেল বিজয়ী। নোবেল পান-২০০৯ সালে। দেশ-যুক্তরাষ্ট্র।
পদার্থবিজ্ঞানঃ
37. মাদাম কুরীঃ নোবেল পান-১৯০৩
সালে। দেশ-পোল্যান্ড। (তিনি দুবার নোবেল পান ১৯১১ সালে (রসায়নে)
38. আবদুস সালামঃ নোবেল
পান-১৯৯৮ সালে। দেশ-পাকিস্তান।
রসায়নঃ
39. মাদাম কুরীঃ নোবেল
পান-১৯১১ সালে। দেশ- পোল্যান্ড।
২০১৮ নোবেল
১। শান্তিতেঃ
২।
রসায়নেঃ
৩। পদার্থবিদ্যায়ঃ
৪। চিকিৎসা শাস্ত্রঃ
মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধের কৌশল আবিষ্কারের জন্য চিাকৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের জেমস অ্যালিসন ও তাসুকু হোনজোর
৫। সাহিত্যেঃ
যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির বিরুদ্ধে গত বছর বিশ্বজুড়ে ঝড় তোলা হ্যাশট্যাগ মি টু (#MEETOO) আন্দোলন এবং অভ্যন্তরীন তিক্ত মহপার্থক্যের কারনে এই পুরস্কার ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্থগিত রাখার নিদ্ধান্ত নেয় একাডেমি
৬। অর্থনীতিতেঃ
৩। পদার্থবিদ্যায়ঃ
৪। চিকিৎসা শাস্ত্রঃ
মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধের কৌশল আবিষ্কারের জন্য চিাকৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের জেমস অ্যালিসন ও তাসুকু হোনজোর
৫। সাহিত্যেঃ
যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির বিরুদ্ধে গত বছর বিশ্বজুড়ে ঝড় তোলা হ্যাশট্যাগ মি টু (#MEETOO) আন্দোলন এবং অভ্যন্তরীন তিক্ত মহপার্থক্যের কারনে এই পুরস্কার ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্থগিত রাখার নিদ্ধান্ত নেয় একাডেমি
৬। অর্থনীতিতেঃ
২০১৭ নোবেল
১। শান্তিতেঃশান্তিতে এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী -ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন্স বা আইক্যান
কারনঃ পরমাণু অস্ত্রের ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং এই অস্ত্রকে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টার জন্যে এই সংগঠনটিকে এবার শান্তি পুরস্কার দেওয়া হলো।
২। রসায়নেঃ
রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী ও গবেষক।
তিনজন তিন দেশের নাগরিক।তাঁরা হলেন জ্যুকেয়েস
ডোবেশেট(সুইজারল্যান্ড), জোয়াকিম ফ্রাংক(জার্মানি) ও রিচার্ড হ্যান্ডারসন(মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র )। ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি উদ্ভাবনের জন্য এই তিন
বিজ্ঞানীকে পুরস্কার দেওয়া হলো। দ্রবণে জৈব অণুর গঠন সুস্পষ্টভাবে
(উচ্চ-রেজ্যুলেশনে) চিহ্নিত করা যায় এই প্রযুক্তির মাধ্যমে।
৩। পদার্থবিদ্যায়ঃ
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী রাইনার ওয়েইস, ব্যারি বারিস এবং কিপ থর্ন। ওঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্তের জন্য।
৪। চিকিৎসা শাস্ত্রঃ
জেফ্রি হল, মাইকেল রসব্যাশ, মাইকেল ইয়ং— এই তিন মার্কিন বিজ্ঞানীকে নেওয়া হয়েছে ২০১৭ সালের শারীরবিদ্যার নোবেল(চিকিৎসা শাস্ত্র)। সার্কাডিয়ান রিদম বা বডি ক্লক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা এবং মৌলিক অনুসন্ধানের স্বীকৃতি হিসেবেই নোবেল পেলেন এই তিন জন। দিন বা রাত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রাণীর দেহ যে ধরনের আচরণ করে বা যে রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা আসলে শরীরের একটি অভ্যন্তরীণ আণবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই প্রক্রিয়াটিকেই খুঁজে বার করেছেন রসব্যাশ, হল এবং ইয়ং।
৫। সাহিত্যেঃ
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কাজুও ইশিগুরো।ইংল্যান্ডের নাগরিক হলেও ইশিগুরোর জন্ম ১৯৫৪ সালে, জাপানের নাগাসাকি শহরে ১৯৮৯ সালে ‘দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে’ বইয়ের জন্য ইশিগুরো ম্যান বুকার পুরস্কারে ভূষিত হন।এছাড়াও তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস হ’ল ‘নেভার লেট মি গো’ ‘অ্যান আর্টিস্ট অব দ্য ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড’, ‘দ্য আনকনসোলড’, ‘দ্য বেরিড জায়ান্ট’ ।
৬। অর্থনীতিতেঃ
২০১৭ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড এইচ থ্যালার। অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মনস্তত্ত্বের প্রভাব তুলে ধরায় তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালের এপ্রিলে হার্ভার্ড ল স্কুলের অধ্যাপক কাস আর সানস্টেইনের সঙ্গে ‘নাজ’(Nudge) নামে যৌথভাবে একটি বই লিখে জনপ্রিয়তা লাভ করেন থ্যালার। এই বইয়ের মাধ্যমেই পরিচিতি পায় তার ‘আচরণগত অর্থনীতি’ তত্ত্ব(বিহ্যাভিয়রাল ইকোনমিকস)।
থেলারের তত্ত্ব হচ্ছে ‘ম্যান্টল একাউন্টিংঅর্থাৎ মনস্তাত্ত্বিক হিসাব রক্ষণ। একজনমানুষ নিজের মনেই পৃথক পৃথক অর্থ তহবিল তৈরি করে নিয়েঅর্থ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সহজী-করণ করে আলাদা আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারই ব্যাখ্যা দিয়েছেন থেলার। ঐ স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত নেওয়া কারণেসামগ্রিক প্রভাব চাইতে খুব কমই প্রভাব পড়ে।
৩। পদার্থবিদ্যায়ঃ
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী রাইনার ওয়েইস, ব্যারি বারিস এবং কিপ থর্ন। ওঁরা পুরস্কৃত হচ্ছেন মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্তের জন্য।
৪। চিকিৎসা শাস্ত্রঃ
জেফ্রি হল, মাইকেল রসব্যাশ, মাইকেল ইয়ং— এই তিন মার্কিন বিজ্ঞানীকে নেওয়া হয়েছে ২০১৭ সালের শারীরবিদ্যার নোবেল(চিকিৎসা শাস্ত্র)। সার্কাডিয়ান রিদম বা বডি ক্লক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা এবং মৌলিক অনুসন্ধানের স্বীকৃতি হিসেবেই নোবেল পেলেন এই তিন জন। দিন বা রাত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রাণীর দেহ যে ধরনের আচরণ করে বা যে রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা আসলে শরীরের একটি অভ্যন্তরীণ আণবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই প্রক্রিয়াটিকেই খুঁজে বার করেছেন রসব্যাশ, হল এবং ইয়ং।
৫। সাহিত্যেঃ
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কাজুও ইশিগুরো।ইংল্যান্ডের নাগরিক হলেও ইশিগুরোর জন্ম ১৯৫৪ সালে, জাপানের নাগাসাকি শহরে ১৯৮৯ সালে ‘দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে’ বইয়ের জন্য ইশিগুরো ম্যান বুকার পুরস্কারে ভূষিত হন।এছাড়াও তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস হ’ল ‘নেভার লেট মি গো’ ‘অ্যান আর্টিস্ট অব দ্য ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড’, ‘দ্য আনকনসোলড’, ‘দ্য বেরিড জায়ান্ট’ ।
৬। অর্থনীতিতেঃ
২০১৭ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড এইচ থ্যালার। অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মনস্তত্ত্বের প্রভাব তুলে ধরায় তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালের এপ্রিলে হার্ভার্ড ল স্কুলের অধ্যাপক কাস আর সানস্টেইনের সঙ্গে ‘নাজ’(Nudge) নামে যৌথভাবে একটি বই লিখে জনপ্রিয়তা লাভ করেন থ্যালার। এই বইয়ের মাধ্যমেই পরিচিতি পায় তার ‘আচরণগত অর্থনীতি’ তত্ত্ব(বিহ্যাভিয়রাল ইকোনমিকস)।
থেলারের তত্ত্ব হচ্ছে ‘ম্যান্টল একাউন্টিংঅর্থাৎ মনস্তাত্ত্বিক হিসাব রক্ষণ। একজনমানুষ নিজের মনেই পৃথক পৃথক অর্থ তহবিল তৈরি করে নিয়েঅর্থ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সহজী-করণ করে আলাদা আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারই ব্যাখ্যা দিয়েছেন থেলার। ঐ স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত নেওয়া কারণেসামগ্রিক প্রভাব চাইতে খুব কমই প্রভাব পড়ে।
No comments:
Post a Comment