মুদ্রানীতিঃ যে নীতির সাহায্যে দেশের মুদ্রা ব্যবস্থা পরিচালনা এবং মুদ্রার যোগান ও ঋণের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জন করা হয় তাকে মুদ্রানীতি বলে। মুদ্রানীতি বলতে সংক্ষেপে সরকারের অর্থ সংক্রান্ত নীতিকেই বুঝায়।
অধ্যাপক আর.পি.কেন্ট বলেন, “ পূর্ণ নিয়োগের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচলিত অর্থের যোগানের পরিমাণে হ্রাস-বৃদ্ধির পরিচালনার নীতিকে মুদ্রানীতি বলা হয়।
অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে মুদ্রানীতি একটি অপরিহার্য্য হাতিয়ার। সকল দেশের মুদ্রানীতি একই রকম হয়না। মুদ্রানীতি প্রণয়ন দেশের ক) ভৌগলিক অবস্থান খ) সমাজ কাঠামো গ) দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল।
লক্ষ্যঃ প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একবার বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারিতে। আরেকবার মুদ্রানীতি ঘোষণা হয় বছরের মাঝামাঝিতে অর্থাৎ জুলাইতে।মুদ্রানীতি দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। তবে, মুদ্রানীতির আরেকটা কাজ হলো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
মুদ্রানীতির ‘টুল’ বা যন্ত্র দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ (মানি সাপ্লাই) নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে আগামী দিনগুলোতে জিনিসপত্রের দাম কম থাকবে, নাকি জিনিসপত্রের দাম বাড়বে অথবা আগামী ছয় মাস বা একবছর সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে নাকি ব্যয় কমবে, দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়বে, নাকি চাকরির সুযোগ তথা কর্মসংস্থান বাড়বে , দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের গতি বাড়বে নাকি কমবে তার একটা রূপরেখা থাকে মুদ্রানীতিতে ।
আরো জানতে পড়তে পারেনঃ
No comments:
Post a Comment