Gross Domestic Product (GDP) and Gross National Product (GNP) |
দেশের সামষ্টিক
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হিসাবের ক্ষেত্রে দুইভাবে করা হয়। একটি হচ্ছে জিডিপি বা মোট
দেশজ উৎপাদন এবং অপরটি হচ্ছে জিএনপি বা মোট জাতীয় উৎপাদন। এ দুইটির মধ্যে মূল
পার্থক্য হচ্ছে জিডিপিতে শুধু দেশের ভেতরে উৎপাদিক পণ্য ও সেবা মূল্যকে ধরা হয়। আর
জিএনপিতে বাংলাদেশের যেসব নাগরিক বিদেশে কাজ করে তারা যে অর্থ উপার্জন করে দেশে
পাঠায় তাসহ হিসাব করা হয়।
জিডিপিঃ (GDP) একটি এলাকার মোট
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি হচ্ছে সে এলাকার অর্থনীতির আকার পরিমাপের একটি পদ্ধতি। একটি
দেশের জিডিপি বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের ভিতরে উৎপাদিত পণ্য ও
সেবার মোট বাজারমূল্য।
জিডিপি = ভোগ + বিনিয়োগ + (সরকারী ব্যয়) + (রপ্তানি − আমদানি)
জিডিপির প্রবৃদ্ধিঃ (GDP growth rate)
এক বছরে একটি দেশের দেশজ উত্পাদন বৃদ্ধির শতকরা হারকে জিডিপি
প্রবৃদ্ধি বলে। এই হার আপনি যেকোনো ভাবে বের করতে পারেন ।
উদাহরনঃ 2015 সালে A দেশের জিডিপি ছিল 1000 টাকা । 2016 সালে তা বেড়ে হলো 1150 টাকা । অর্থাত্
জিডিপি মোট বেড়েছে 150 টাকা ।
এখন I=Prn সূত্র দিয়ে সহজেই জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার বের করা যাবে ।
যেখানে আসল p = ১০০০ টাকা
সময় n
= ১ বছর
মুনাফা I = ১৫০
মুনাফার হার r = ? টাকা।
আমরা জানি , R=I/PN
বা , R=150/1000 X
1
বা , R=0.15
বা ,শতকরা জিডিপি প্রবৃদ্ধি =0.15X 100= 15%
জিএনপি : জিডিপি ও
জিএনপি প্রায় সমার্থক। তবে সামন্য পার্থক্যও আছে। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক
বছরে কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য বা সেবা উৎপাদন করে তার
অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিএনপি বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের
অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন বা আয় অন্তর্ভুক্ত
হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ও আয়
অন্তর্ভুক্ত হবে।
জাতীয় আয়ের হিসাব থেকে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। যে দেশের জিএনপি যত বেশি সে দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তত বেশি সমৃদ্ধ।
জাতীয় আয়ের হিসাব থেকে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। যে দেশের জিএনপি যত বেশি সে দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তত বেশি সমৃদ্ধ।
No comments:
Post a Comment