একটা দেশের কাঙ্খিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্রুত প্রসারের জন্য
সমুদ্র বন্দর পূবশর্ত যার মাধ্যমেই দেশের মূলতঃ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন
ঘটে।যে দেশের কোন সমুদ্র বন্দর নেই সেই দেশকে আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্যে প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হতে হয় ।বেশিরভাগ
বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য তারা পুরোপুরি অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকে।প্রকৃত পক্ষে, একটি দেশের
সুষম ও টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সমুদ্র বন্দরের ভূমিকাও গুরুত্ব
অপরিসীম।এটা একটি দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ শক্তির মত কাজ করে।নেদারল্যান্ড, সিংগাপুর
ইত্যাদি দেশগুলো সমুদ্র বন্দরকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন
ত্বরান্বিত করেছে।প্রতি
বছর একটি বন্দরে দিয়ে হাজার হাজার কোটি ডলারের বানিজ্য হয়।একে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে
প্রচুর শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হয় দেশের
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।সমুদ্র
বন্দরের ফলে বৈদেশিক বানিজ্যে সময় ও খরচ করে অনেক কমে আসে।
গভীর সমুদ্র বন্দরঃ
সাধারন বন্দরগুলোর গভিরতা কম থাকে ফলে এতে বড় বড় জাহাজগুলো
ভিততে পারেনা ।জাহাজ গভির সাগরে থাকে সেখান থেকে ছোট ছোট লাইটারে করে কন্টেইনার
নিয়ে আসা হয় ফলে খরচ ও সময় বেশি লাগে, গভির সমুদ্র বন্দর থাকলে এটা এরানো যাবে।
তাছারা এতে অধিক পরিমানে জাহাজ একি সাথে নোঙ্গর করতে পারবে যা সাধারন বন্দরে
পারেনা ।ব্যবসা-বাণিজ্যে একটি প্রধান কেন্দ্র ও এ অঞ্চলের
প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিণত হয়। এ ছাড়া বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক বিনিয়োগ হবে, সারা দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি আসবে অবকাঠামোগত
ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হবে। ফলে কর্মসংস্থান বিপুলভাবে বাড়বে।
আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে রাজস্ব আয়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। তেল-গ্যাস ও
অন্যান্য সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও ব্যবহারের সুযোগ বাড়বে। সার্বিকভাবে বাৎসরিক জিডিপি
বৃদ্ধির হার বারবে। অন্যদিকে, নিরাপত্তার হুমকি দেখা দিলে নৌবাহিনীর জন্য বিকল্প নৌঘাঁটি হিসেবে বন্দরটি
ব্যবহার করা যাবে
আরো জানতেঃ
No comments:
Post a Comment