জীবনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আপনার দেহ-মনকে গ্রাস করবেই। একে আপনি পুরোপুরি ভাগাতে পারবেন না। তবে বিশেষ কৌশলে কিছু সময়ের জন্যে এর কবল থেকে মুক্তি মিলবে। এমনিতেই আমাদের আধুনিক জীবন স্ট্রেসে পরিপূর্ণ। ব্যস্ত জীবন আর প্রযুক্তির নেশা সবাইকে অস্থির করে রাখছে। এ সময় অবশ্য মেডিটেশন বা ইয়োগা বেশ কার্যকর মুক্তির পথ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এসব করার সময়টাও যেন নেই আমাদের হাতে।
আসলে
আপনাকে এত সময়ও দিতে হবে না। যদি একেবারে নাই পারেন তো শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্র ৩
ধরনের পদ্ধতির চর্চায় আপনি সহজেই স্ট্রেসমুক্ত হতে পারেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা
জানাচ্ছেন সেই পদ্ধতির কথা।
চার পর্যন্ত
গুনতে থাকুন
অফিসে কাজের ফাঁকেও কাজটি সেরে ফেলতে পারেন। মস্তিষ্ক আর মনে যখন চাপ অনেক বেশি, তখনই সবকিছু ঠেলে পাশে সরিয়ে দিন। চেয়ারে বসে পড়ুন ঠাণ্ডা মাথায়। গভীর করে শ্বাস নিন আর চার পর্যন্ত গুনতে থাকুন। গোনার শেষ পর্যন্ত শ্বাস টানতে থাকুন। এবার চার সেকেন্ডের জন্যে শ্বাস আটকে রাখুন। ঠিক আগের মতোই চার গুনতে গুনতে শ্বাস ছেড়ে দিন। এ কাজ একটানা পাঁচ বার করুন।
অফিসে কাজের ফাঁকেও কাজটি সেরে ফেলতে পারেন। মস্তিষ্ক আর মনে যখন চাপ অনেক বেশি, তখনই সবকিছু ঠেলে পাশে সরিয়ে দিন। চেয়ারে বসে পড়ুন ঠাণ্ডা মাথায়। গভীর করে শ্বাস নিন আর চার পর্যন্ত গুনতে থাকুন। গোনার শেষ পর্যন্ত শ্বাস টানতে থাকুন। এবার চার সেকেন্ডের জন্যে শ্বাস আটকে রাখুন। ঠিক আগের মতোই চার গুনতে গুনতে শ্বাস ছেড়ে দিন। এ কাজ একটানা পাঁচ বার করুন।
কপালের বাটি
শিড়দাঁড়া সোজা করে বসে পড়ুন। দুই হাত রাখবেন দুই হাঁটুতে, ঠিক যেভাবে ধ্যান করে মানুষ। এবার ওপরের দিকে তাকান। কপাল ওপরের দিকে থাকবে। প্রথমে গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ছেড়ে দিন। কিছু ছোট ছোট শ্বাস টানতে থাকুন, মনে হবে যে পাকস্থলীটা ওপরের দিকে উঠছে। টানা এক মিনিট থেকে এমন করতে থাকুন।
শিড়দাঁড়া সোজা করে বসে পড়ুন। দুই হাত রাখবেন দুই হাঁটুতে, ঠিক যেভাবে ধ্যান করে মানুষ। এবার ওপরের দিকে তাকান। কপাল ওপরের দিকে থাকবে। প্রথমে গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ছেড়ে দিন। কিছু ছোট ছোট শ্বাস টানতে থাকুন, মনে হবে যে পাকস্থলীটা ওপরের দিকে উঠছে। টানা এক মিনিট থেকে এমন করতে থাকুন।
নাসারন্দ্র দিয়ে
অবিরাম শ্বাস-প্রশ্বাস
এ
পদ্ধতি স্নায়ুতন্ত্রের জীবনিশক্তি ফিরিয়ে আনার অন্যতম উপায়। এতে দেহ-মন শান্ত হয়ে
ওঠে। ধ্যানের মতো করে বসে দুই হাত হাঁটুতে রাখুন। ডান হাতটা তুলে তর্জনী এবং
মধ্যাঙ্গুলি দুই ভ্রূয়ের মাঝে রাখুন। এবার দুই চোখ বন্ধ করে গভীর করে শ্বাস নিন।
তা নাক দিয়েই ছাড়ুতে হবে। ডান পাশের নাক ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে চেপে ধরে বাম
নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। এবার শ্বাস টানার পর বাম নাক বন্ধ করে
ডান
পাশের নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে ডান-বামের নাক চেপে এবং ছেড়ে একই কাজ
করুন।
লেখাটি কালের কন্ঠের মেইন লেখা পড়তে এখানে
লেখাটি কালের কন্ঠের মেইন লেখা পড়তে এখানে
No comments:
Post a Comment